
সম্মানজনক কর্মসংস্থান ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ
আমরাই গড়বো নতুন বাংলাদেশ।
আমাদের একে অপরের ওপর আস্থা রাখতে হবে—বিশ্বাস রাখতে হবে নিজেদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতায়, আর দৃঢ় হতে হবে এই দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রতি। বাংলাদেশের প্রতি সেই বিশ্বাস এবং আস্থা পুনরুদ্ধার করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি এই প্রজন্মের জন্য একটি সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ। ভেদাভেদ নয়, আসুন ঐক্যর সাথে গড়ে তুলি নতুন বাংলাদেশ।
আকরাম হুসাইন
ছাত্রনেতা, মানবাধিকারকর্মী ও গণতন্ত্রের নিবেদিত কর্মী। বর্তমানে আমি জাতীয় নাগরিক পার্টির (NCP) যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করার সময় আমি ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছি। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আমি আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলাম এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সংগঠনের উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেছি।
আমার রাজনৈতিক পথচলা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে। মানবাধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় আমাকে একাধিকবার গ্রেপ্তার, অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
২০২৪ সালের বড় যুব আন্দোলনে আমি নেতৃত্ব দিই, যা দেশে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে নতুন জাগরণ সৃষ্টি করে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমি আজও দেশের যুবসমাজকে সংগঠিত করতে কাজ করছি—একটি সহনশীল, অংশগ্রহণমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রত্যাশায়।
স্বাধীনতাই হলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কাজ আর সম্মানের মতো মৌলিক অধিকার যেন আর কারো স্বপ্ন না থাকে—এই লক্ষ্যেই বাস্তব পরিবর্তনের সূচনা হোক। এই দেশ বদলাবে আমাদের ভাবনায়, কাজের শক্তিতে, আর সাহসীকতায়।
মিশন
- নিরাপদ, ন্যায়ভিত্তিক ও সমতা-নির্ভর বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।
- কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করা।
- তরুণ নেতৃত্ব ও জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণে গণতন্ত্র শক্তিশালী করা।
- দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা।
- সবার অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা।
ভিশন
- এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করা যেখানে:
- সব নাগরিক সমান সুযোগ ও মর্যাদা ভোগ করবে।
- মত প্রকাশ, চিন্তা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে।
- ঐক্য, মানবতা ও নৈতিকতা সমাজের ভিত্তি হবে।
- প্রযুক্তি ও তরুণদের শক্তিতে অর্জিত হবে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা।
- জনগণের স্বার্থই রাজনীতির আসল লক্ষ্য হবে।
তরুণ চিন্তার নতুন গতি,তাদের শক্তিতে
গড়ে উঠবে নতুন বাংলাদেশ!
একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে তাই জনগণের শক্তি দিয়েই গড়ে উঠবে আগামী দিনের রাষ্ট্র। আজকের তরুণরা ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়বে। তাদের মাঝে সেই অফুরন্ত শক্তি, উদ্দীপনা এবং সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমি যে গুরুত্বপূর্ণ পাঠগুলো শিখেছি, তা আমি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে চাই। আমরা যদি তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা, দক্ষতা এবং সুযোগ প্রদান করতে পারি, তবে তারা দেশকে পৃথিবীর শীর্ষে নিয়ে যাবে। তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়ন শুধু সমাজের উন্নতির জন্য নয়, এটি একটি নতুন দিগন্তের সূচনা—যেখানে তারা দেশের স্বার্থে কার্যকর পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। আমি তাদের পাশে আছি, তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য।
কেবল প্রতিশ্রুতি নয়, কার্যকর পরিকল্পনায় গড়ে উঠবে বাসযোগ্য সুরক্ষিত এলাকা
মোহাম্মদপুর ১৩ আসনের বাসীনদারা প্রতিদিন বাস্তব জীবনের ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। পরিবেশ, নিরাপত্তা, জীবনমান, নাগরিক সুযোগ সবকিছুর ঘাটতি আছে। এখন সময় এসেছে বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধান আনার।

অপরাধমুক্ত ও নিরাপদ এলাকা
নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ
চুরি, ছিনতাই, মাদক সমস্যা, গ্যাং কালচারই মোহাম্মদপুরে নিরাপত্তাহীনতার এক ভয়াবহ বাস্তবতা। ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অপরাধ রোধে পুলিশ, প্রশাসন ও জনগণের সমন্বিত ভূমিকা নিশ্চিত করব। তাছাড়া জনগণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় নেতৃত্বের সমন্বয়ে ‘কমিউনিটি সেফটি প্রোগ্রাম’ চালু করব, যেখানে প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে সক্রিয় নজরদারি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা।

কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও সেবা সবার অধিকার
বছরের পর বছর ধরে এই এলাকাটি অবহেলিত, অধিকার বঞ্চিত। তাই আমি তাদের পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা, পানির লাইন, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান ও শিশুশিক্ষার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি এবং আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আরও দৃঢ়। মানুষ হিসেবে সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার সকলেরই আছে।

পরিবেশ ও নাগরিক উন্নয়ন
ড্রেনেজ সমস্যা, জলাবদ্ধতা, আবর্জনার পাহাড় আর রাস্তার বেহাল অবস্থাগুলো এখন আর সহ্য করা যায় না। আমি বিশ্বাস করি যদি পরিকল্পিত রোড মেইনটেন্যান্স, নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান, এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের মাধ্যমে মোহাম্মদপুরকে গড়ে তুলতে পারি একটি পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যবান ও টেকসই নগর হিসেবে।

শিক্ষাই শক্তি, দেশ গড়তে হলে
শিক্ষাকে দিতে হবে প্রথম স্থান
মেধার ভিত্তিতে রাজনীতির মাধ্যমেই দেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী করা যায়। রাজনীতিতে মানবকল্যাণ, দেশের স্বার্থ, ও শিক্ষিত সমাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিক্ষা একটি জাতীর মেরুদণ্ড তাই সমাজে শিক্ষা অবশ্যই সকলের জন্য সমমানের হতে হবে। বিগত বছরগুলোতে আমাদের বিভিন্ন সামাজিক পদ্ধতিগুলি যে পার্থক্যসমূহ তৈরি করেছে তা সঠিকভাবে পরিচালিত করার হাতিয়ারই হবে শিক্ষা।

তরুণ জাগলে সমাজ জাগে, জনগণের আস্থাতেই গড়ি আগামির ভবিষ্যৎ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)-এর যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে আমি জনগণের পাশে থাকতে চাই। গঠনমূলক চিন্তা, জবাবদিহিমূলক নেতৃত্ব ও সামাজিক ন্যায়ের মাধ্যমে আমি পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জনস্বাস্থ্যতে হবে অগ্রাধিকার
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতকে উন্নত করা শুধু প্রয়োজন নয়, এটি সময়ের দাবি। আমি চিকিৎসার মান বাড়িয়ে এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই, যাতে আর কাউকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে না হয়। আধুনিক সুবিধা, দক্ষ ডাক্তার ও সুলভ সেবা নিশ্চিত করলেই দেশের মানুষ নিজ দেশে আস্থা পাবে। স্বাস্থ্যসেবা হবে সবার জন্য সহজলভ্য, সম্মানজনক ও উন্নত।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানই প্রকৃত উন্নয়নের সূচনা। দুর্নীতি কেবল টাকা নয়, মানুষের আস্থা নষ্ট করে। আমি চাই, প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং প্রযুক্তি-নির্ভর কার্যক্রম চালু হোক, যেন জনগণ সহজেই জানে, কিভাবে, কোথায়,তাদের করের টাকায় কাজ হচ্ছে।
মানবাধিকার ও আইনের শাসন
আইনের শাসন ছাড়া ন্যায্য সমাজ গড়া সম্ভব নয়। মানবাধিকার মানেই শুধু অধিকার নয়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন। আমি চাই এমন একটি সমাজ, যেখানে মানুষ ভয় নয়, আস্থায় বাঁচে। আইনের চোখে সবাই সমান থাকবে—এটাই হবে আমার রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তি।
কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরন
সরকারি চাকরির পাশাপাশি তরুণদের মেধা কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা, স্থানীয় শিল্প ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। প্রশিক্ষণ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও সহজ ঋণের মাধ্যমে গড়ে তুলবো একটি আত্মনির্ভরশীল কর্মক্ষম প্রজন্ম।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন
আজ মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্টের কারণ বাড়তি খরচ যা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এর দিকে নিয়ে যায়। আমি বিশ্বাস করি যদি সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ডিজিটাল মূল্যতালিকা নিধারন করা হয় তবে এমন একটি সমাজ গঠিত হবে, যেখানে ন্যায্য মূল্যে খাদ্য, ওষুধ, বাসস্থান পাওয়াটা হবে নাগরিক অধিকার।
আমরা যখন “ডিজিটাল বাংলাদেশ” বলি, তখন এর অর্থ হচ্ছে—নাগরিক সুবিধাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। আমি স্বপ্ন দেখি এমন একটি শহর, যেখানে নাগরিক সেবা, স্মার্ট ট্রাফিক, সিসিটিভি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পরিবেশ—সবকিছু প্রযুক্তিনির্ভর ও জনগণ-কেন্দ্রিক হবে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে গড়বো নতুন বাংলাদেশ,
যেখানে স্বপ্ন দেখাটা
অধিকার হবে, বিলাসিতা নয়।
প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ, মর্যাদা রক্ষা ও উন্নয়নের পথে হাঁটার সুযোগ নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। এবং চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ—এই চার ভিত্তির ওপর গড়ে উঠবে আগামী প্রজন্মের জন্য পরিকল্পিত ভবিষ্যৎ। আসুন, আমরা সবাই মিলে গড়ি একটি সুন্দর, নিরাপদ, ও আধুনিক বাংলাদেশ।